নিজস্ব প্রতিবেদক:
গাজিপুরের সাংবাদিক তুহীন হত্যাকান্ডের রেশ না কাটতেই কক্সবাজার শহরে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। তবে প্রাণে বেঁচে ফিরলেন ওই সাংবাদিক।

১৪ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে শহরের পান বাজার সড়কে ঘটনাটি ঘটেছে। তবে ঘটনার পরপরই দুই ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। পরে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, সদরের খুরুশকুলের কুলিয়াপাড়ার মো: ফরিদ আলমের ছেলে নাহিয়ান নুর নাবিল এবং তরুণী আসমা সুলতানা।

কক্সবাজারের শহরের প্রাণ কেন্দ্র পানবাজার সড়কে বেশ কয়েকটি ছিনতাই এর ঘটনা ঘটেছে। যে কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীরা উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে সরেজমিন রিপোর্ট করতে যায় কক্সবাজার নিউজ-সিবিএন এর নিজস্ব প্রতিবেদক শহিদুল ইসলাম।

তিনি প্রতিবেদন তৈরির জন্য ভিডিও সংগ্রহ করাকালে সামনে পড়ে লম্বা চুল ওয়ালা এক যুবক ও কালো বুরকা পরিহিত এক তরুণী। কোনো কথা ছাড়াই হঠাৎ তারা সাংবাদিকের উপর হামলে পড়ে। মোবাইলসহ পেশাগত কাজে ব্যবহারের সকল সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেয়।

এদিকে চুরি ছিনতাইয়ের সংবাদ সংগ্রহের বিষয়ে আগে থেকেই অবগত ছিলেন বাজার সমিতি সভাপতিসহ ব্যবসায়ীরা। যার কারণে ব্যবসায়ীদের সহযোগীতায় তাদের হাত থেকে প্রাণে রক্ষা পায় ওই সাংবাদিক। তবে প্রশ্ন, কেনো সাংবাদিককে হামলা করে তারা!

জানা গেছে, একজন রিক্সা চালককে সজোরে থাপ্পড় দিতে দিতে মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে পালিয়ে আসার সময় মূলত কাকতালীয়ভাবে এই তরুণ তরুণী ঐ সাংবাদিকের ক্যামেরায় ধরা পড়ে। চোরের মনে পুলিশ পুলিশ। ছিনতাই চেষ্টা করে পালিয়ে আসার সময় সাংবাদিক ফোটেজ নেওয়া মানেই আইনের হাতে ধরা পড়বে তারা। সেই ভয়েই সাংবাদিককে ফোটেজ ডিলিট করতে বলে। ডিলেট না করায় সংবাদকর্মীকে হামলা করে। পরে সাংবাদিকের হাতে থাকা সেমসাং এস২৪ আল্ট্রা ফোনটিও ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যেতে চাইলে পান বাজার রোড ব্যবসায়ী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ওসমানের নেতৃত্বে সাধারণ ব্যবসায়ী ও জনতারা তাদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়৷

এ নিয়ে সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম থানায় একটি মামলাও দায়ের করেন। যেখানে আটক ২ জন ছিনতাইকারীসহ অজ্ঞাতনামা পাঁচজনকে আসামি করা হয়।

এদিকে জনশ্রুতি আছে ছদ্দবেশী ওই নারী এবং পুরুষ স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিলেও তারা প্রেমিক-প্রেমীকা, এভাবে নানান অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে ঘুরে বেড়ায় তারা।

এবার প্রশ্ন সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তাই বা কতটুকু? এই ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা করে নিয়ন্ত্রণই বা হচ্ছে না কেনো?

দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজার শহরে এভাবে চুরি ছিনতাইচক্র বেড়ে গেলে পর্যটন শিল্পে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান বলেন, ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুইজনকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।